• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষীর জমি জবর দখলের অভিযোগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০২২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার স্বাক্ষীর নিজস্ব ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়াগেছে। দখলদাররা জমির মালিককে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে জমির মালিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বলছে জমি জমার বিষয়ে ঝামেলা আছে। তাই পালং মডেল থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর কাশাভোগ গ্রামের নুরুল হক সিকদার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আন্তর্জাতিক মানবতাবিরাধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী চর কাশাভোগ এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল সিকদার (৬২) এর বাবা শহীদ আবদুস সামাদ সিকদার জীবদ্দশায় ৮৫নং চরকাশাভোগ মৌজার ১ দশমিক ১৩ শতাংশ জমি বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে যান। বর্তমান বিআরএস ৪৫ খতিয়ানের ২০, ২৪,২৫ নং দাগের ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ , ৪৭ নং খতিয়ানের ১৮ ও ১৯ নং দাগের ১৯ শতাংশ এবং ৫৯ নং খতিয়ানের ১৭ নং দাগের ৪৫ শতাংশ সহ ২দশমিক ১৯ শতাংশ জমি তার বাবার মৃত্যুর পরে বাবার বিক্রিত জমিটুকুসহ ঐ ক্রেতাদের থেকে ইসমাইল সিকদার ,নুরুল হক সিকদার ও সিরাজুল হক সিকদার ক্রয় করে নেন। এ জমির মধ্যে ইব্রাহিম বেপারীর থেকে ৪০ শতাংশ ।আমিরজান বিবির থেকে ২৭ শতাংশ আলফা জদ্দিন ছৈয়ালের থেকে ৪৪ শতাংশ মঙ্গল বেপারীর থেকে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে নেন।ঐ জমি বিআরএস রেকর্ড করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঐ জমিতে বর্তমানে ধান রোপন করা হয়েছে। হঠাৎ করে ২০ নভেম্বর সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রায় ২/৩ শ লোকজন লাঠিসোটা রামদা ছেনদা সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব কাশাভোগ গ্রামের প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় আজাদ রহমান বেপারী, ফারুক মোল্যা ঐ জমিতে জোরপূর্বক দখল করে তাদের জমি বলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। জমির মালিক ইসমাইল সিকদার ও তার ভাই নুরুল হক সিকদার ও সিরাজুল সিকদার বাধা দিলে তাদের বাধা মানেনি। বরং তাদেরকে ধাওয়া করে। দখলকারীরা হুমকি দেয় জমির কাছে গেলে জীবনে শেষ করে ফেলবে। উপায়ান্ত না পেয়ে জমির মালিক আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার স্বাক্ষী মোঃ ইসমাইল শিকদার ঐ দিনই শরীয়তপুর প্রলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অভিযোগ খানা পালং মডেল থানার ওসি বরাবর আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। এ দিকে জমির মালিকগন প্রাণের ভয়ে বাড়ি ঘরে থাকতে পারছেনা। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মনে ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। যেকোন সময় দখলদার প্রভাবশালীরা তাদেরকে জীবনে শেষ করে ফেলতে পারে।
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার স্বাক্ষী মোঃ ইসমাইল শিকদার বলেন, সরকারের পক্ষথেকে আমার কল্যাণ সুরক্ষার ও নিরাপত্তা বিধানের সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোতিা করতে বলেছেন। অথচ প্রভাবশালী দখলদাররা আমার ক্রয়কৃত ও রেকর্ডীয় ফসলী জমি ফসল বিনষ্ঠ করে জোর পূর্বক দখল করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি বাধা দিলে আমাকে জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার ভাইরা বাড়িতে থাকতে পারছিনা।
আমি সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে আজাদ বেপারী বলেন, এই জমিতে ইসমাইল শিকদারের মা ও বোনেরা ওয়ারিশ পাবে বলে আমার কাছে বিক্রি করেছে। এ কারনে আমি ঐ জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছি। বোনেরা জমি না পাইলে আমি সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে আসবো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ভাস্কর সাহা বলেন, এ দরখাস্তখানা আমার হাতে দিয়েছে। জমি জমার বিষয়ে ঝামেলা আছে।তাই আমি ওসি পালং মডেল থানাকে আইগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads